শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
বাড়ির ফ্রিজে দুদিন ধরে পড়ে রইল করোনা রোগীর মরদেহ!

বাড়ির ফ্রিজে দুদিন ধরে পড়ে রইল করোনা রোগীর মরদেহ!

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর দুদিন ধরে বাড়িতেই পড়ে ছিল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। গত সোমবার দুপুরে কলকাতা শহরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপর থেকে মৃতের পরিবার থানা, স্বাস্থ্য ভবন, কলকাতা পুরসভায় যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাননি। মরদেহে পচন শুরু হয়ে গেলে গতকাল মঙ্গলবার অনেক কষ্টে একটি ফ্রিজ জোগাড় করে তার ভেতরে কোনোরকমে ঢুকিয়ে রাখা হয় মৃতদেহটি।

মৃত্যুর প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর আজ বুধবার কলকাতা পুরসভা মৃতদেহ নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার সকালে চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর কলকাতার আর্মহাস্ট  স্ট্রিটের নিজ বাড়িতেই হঠাৎ মৃত্যু হয় ওই প্রবীণের।

এ সময় পরিবারের লোকজন চিকিৎসক ডেকে আনলে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন চিকিৎসক।

মৃতের আত্মীয় বলেন, ‘মৃত্যুর পর আমরা থানায় যাই। তারা বলেন স্বাস্থ্য ভবনে যোগাযোগ করুন। স্বাস্থ্য ভবনের হেল্পলাইনের ফোন করে আমরা লাইন পাইনি।  হেল্পলাইন নম্বর বেজেই গেল। রাত নয়টা পর্যন্ত কিছু করতে না পেরে দেহটি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি। চিকিৎসক সেইমতো লিখেও দেন। কিন্তু কোনো সংরক্ষণ কেন্দ্র এই দেহ নিতে চায়নি।’

পুলিশকে জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যরা কলকাতা পুরসভার অফিসে যান। নিয়ম জানিয়ে তারা জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য ভবনে যেতে। কিন্তু স্বাস্থ্যভবন থেকেও রিপোর্ট আনার জন্য বলে দেয়।

রাত এগারোটায় রিপোর্ট হাতে পান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার থেকে একটি ফ্রিজে দেহটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

মৃতের পরিবার অভিযোগ করে, রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ভবনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। অবশেষে আজ বুধবার সকালে স্বাস্থ্য ভবনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়, সেখান থেকে কলকাতা পৌরসভায় খবর যায়।

মৃতের ছেলে বলেন, ‘বাবার মৃতদেহ দুদিন ধরে চোখের সামনে বাড়িতেই রয়েছে। যন্ত্রণাটা বোঝার চেষ্টা করুন। অসহায় লাগছে। কি করবো বুঝতে পারছিনা। সুরক্ষার বিষয় রয়েছে। মৃত্যুর পর এমন অভিজ্ঞতা হবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। এক দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল গোটা পরিবার।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com